প্রফেশনাল ব্লগার হওয়ার দক্ষতা: আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারকে শীর্ষে তুলুন

অনলাইনে উল্লেখ্য যে, প্রতি মিনিটে ৬,০০০ এর বেশি ব্লগ পোস্ট লেখা হয়। এই বিশাল সংখ্যার মধ্যে নিজেকে প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা দায়িত্ব ও সক্ষমতার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এর জন্য অপরিহার্য এমন কিছু দক্ষতার প্রয়োজন হয় যা অন্যদের থেকে কিছুটা আলাদা করে তোলে।

সৃজনশীলতা অন্যতম প্রধান দক্ষতা। ব্লগ পোস্ট এর বিষয়বস্তুকে আকর্ষণীয় করতে হলে আপনি কিভাবে ভিন্নভাবে চিন্তা করেন সেটাই প্রাসঙ্গিক। এছাড়াও, SEO জ্ঞান, মার্কেট রিসার্চ কৌশল এবং প্রধানত উৎকৃষ্ট লেখার ক্ষমতাও অপরিহার্য।

প্রফেশনাল ব্লগার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা

প্রফেশনাল ব্লগিং করতে হলে প্রথমত প্রয়োজন সৃজনশীলতা। আপনি কীভাবে বিষয়বস্তু তুলে ধরবেন এবং তা পাঠকদের আকর্ষণ করবে সেটাই মূল কৌশল। সৃজনশীলতা আপনাকে বিশেষায়িত করে বাকিদের থেকে আলাদা করবে। এটি কেবল লেখায় নয়, লেখার শৈলী ও লেখার উপস্থাপনাতেও প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ, পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন গল্প ও চিত্রকল্প ব্যবহার করা যেতে পারে।

SEO জ্ঞানের গুরুত্ব অস্বীকার করা চলবে না। এটি ব্লগ পোস্টকে সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতর স্থান দিতে সহায়তা করে। আপনি কীভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন এবং কীভাবে পেজ অপটিমাইজ করবেন সেগুলো জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। শিরোনাম, মেটা বিবরণ, এবং লিংক বিল্ডিং কৌশল এসব ব্যাপারেও সচেতন থাকা উচিত।

লেখার ক্ষমতা থাকতে হবে একদম মূলধারায়। লেখার শৈলী সরল ও একই সঙ্গে আকর্ষণীয় হতে হবে। পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখতে প্রয়োজন সংক্ষিপ্ত কিন্তু প্রাসঙ্গিক বক্তব্য। আধুনিক ব্লগিং এ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, লেখার বিন্যাস ও হেডিংগুলো পরিষ্কার ও সুধৃঢ় হওয়া উচিত।

সামাজিক মিডিয়া ও মার্কেটিং দক্ষতা আরও একটি প্রধান দক্ষতা। আপনি কীভাবে আপনার ব্লগ পোস্টকে প্রচার করবেন এবং কে আপনার পাঠক তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এতে ব্লগের সফলতা বৃদ্ধি পেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সক্রিয় থাকা, পোস্ট শেয়ার করা, এবং পাঠকদের সাথে জড়িত থাকতে পারা একটি পরিচ্ছন্ন সাফল্যের মূলমন্ত্র।

সৃজনশীল মনোভাবের গুরুত্ব

সৃজনশীল মনোভাব ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রেও অপরিহার্য। আপনি কীভাবে নতুন দৃষ্টিকোণ ও ভাবনাগুলো উপস্থাপন করবেন তা পাঠকদের আকর্ষণ করে। সাম্প্রতিক সময়ে পাঠকরা একই ধরনের বিষয়বস্তু দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যায়। সৃজনশীলতা পাঠকদের মনোগ্রাহী করে রাখতে সহায়ক। নতুন ও অভিনব ধারণা পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে ভিন্নধর্মী চিন্তাভাবনা থাকা প্রয়োজন। এটি কেবল বিষয়বস্তু নির্বাচনেই নয়, বরং লেখার ধরণেও গুরুত্বপূর্ণ। একই তথ্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে পাঠকদের মনোযোগ অর্জন করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, আপনার ব্লগ পোস্টে গল্পের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করলে তা আরও আকর্ষণীয় হয়। এটি পাঠকদের আরও বেশি জড়িত রাখতে পারে।

সৃজনশীলতা কেবল লেখাতেই সীমাবদ্ধ নয়। আপনি কীভাবে ছবি, গ্রাফিক্স ও ভিডিও ব্যবহার করবেন তা নিয়ে ভাবতে হবে। ভিজ্যুয়াল উপাদানগুলি সৃজনশীলতার একটি বড় অংশ। এ ধরনের উপকরণ ব্যবহার করে ব্লগ পোস্টকে আরও জীবন্ত করে তোলা সম্ভব। এটি পাঠকদের বুঝতে এবং মনে রাখতে সাহায্য করে।

অন্যদিকে, সমস্যা সমাধানে সৃজনশীল মনোভাবও অপরিহার্য। আপনি ব্লগিংয়ের সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সৃজনশীল মনের সাহায্যে আপনি সেগুলির সমাধান পেতে সক্ষম হবেন। বিভিন্ন সমস্যাকে ভিন্নভাবে দেখার ক্ষমতা আপনাকে প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে বিশেষায়িত করবে। এটি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে উন্নতি আনবে।

উৎকৃষ্ট লেখার ক্ষমতা: ব্লগার হওয়ার মৌলিক দক্ষতা

উৎকৃষ্ট লেখার ক্ষমতা প্রতিটি প্রফেশনাল ব্লগারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র শব্দ এবং বাক্য গঠন করার দক্ষতা নয়, বরং পঠনযোগ্য ও পাঠকপ্রিয় বিষয়বস্তু তৈরি করার ক্ষমতা। পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখতে সঠিক শব্দচয়ন অপরিহার্য। শব্দের বিন্যাস সঠিক হলে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। বানান ও ব্যাকরণের সঠিকতা লেখার মান উন্নত করে।

একটি ব্লগ পোস্টের কাঠামো সঠিক হওয়া প্রয়োজন। লেখার শিরোনাম ও উপশিরোনাম পরিষ্কার ও যোগ্য হওয়া প্রয়োজন। এতে করে পাঠকরা সহজেই বিষয়বস্তু বুঝতে পারে। আরও পড়ুন: ব্লগিং ইন্ডাস্ট্রি ও নেটওয়ার্কিং

• কিন্তু যদি শিরোনাম বিভ্রান্তিকর হয়, পাঠকের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে।
• তাছাড়া, প্যারাগ্রাফ বিভাজনও গুরুত্বপূর্ণ।

তাতে লেখা আরও সুসংগত হয়ে ওঠে।

উৎকৃষ্ট লেখা কেবল তথ্য প্রদান নয়, বরং পাঠকদের সাথে সম্পর্ক গঠনের মাধ্যম। পাঠকদের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করার জন্য কথা বলার মতোভাবে লেখা উচিত। পাঠকদের অনুভূতির প্রতি মনোযোগ দিয়ে লেখা তৈরির পরীক্ষা চালানো উপকারী হতে পারে। এভাবে লেখার প্রেক্ষাপট বুঝতে পারা যায়। এই পদ্ধতি পাঠকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।

ব্লগ লেখা মানেই নিরন্তর চর্চা। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে লেখার দক্ষতা উন্নত করা যায়। প্রতিটি ব্লগ পোস্টে নতুন কিছু শিখতে ও শিখানো যায়। তাছাড়া, পাঠকদের মতামত নেওয়া উচিত। এতে লেখার মান উন্নত হওয়ার সুযোগ থাকে।

SEO জ্ঞান: প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে প্রয়োজনীয় টূল

SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন প্রফেশনাল ব্লগারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টূল। এটা ব্লগ পোস্টকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে উচ্চতর স্থানে রাখতে সহায়তা করে। কিওয়ার্ড গবেষণা ব্লগিংয়ে একটি অপরিহার্য অংশ। সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনার ব্লগের ভিজিটর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এতে করে আপনার ব্লগটি আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

SEO জ্ঞানের মধ্যে ওপেজ এবং অফপেজ অপটিমাইজেশন অন্তর্ভুক্ত। ওপেজ অপটিমাইজেশনের মধ্যে থাকে শিরোনাম, মেটা ট্যাগ, এবং URL গঠন। অন্যদিকে, অফপেজ অপটিমাইজেশনে থাকে ব্যাকলিংকিং এবং সোশ্যাল বুকমার্কিং।

• শিরোনাম ও উপশিরোনামকে আকর্ষণীয় করা গুরুত্বপূর্ণ।
• এছাড়া, মেটা বিবরণে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড থাকতে হবে।

এই সব বিষয়গুলো আপনাকে একটি শক্তিশালী ব্লগ তৈরিতে সহায়তা করবে।

কন্টেন্ট এর মান উন্নত করতে, কিওয়ার্ড ঘনত্ব এবং কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিওয়ার্ডগুলোকে প্রাকৃতিকভাবে ছড়িয়ে দিতে হয় যা পড়লে রোবটের মত না শুনায়।

এতে সার্চ ইঞ্জিনেও পড়া সহজ হবে এবং পাঠকদেরও প্রাসঙ্গিক মনে হবে। সুতরাং, কন্টেন্ট এর মানের গুরুত্ব অবহেলা করা উচিত নয়।

SEO-র সঠিক প্রয়োগ আপনাকে অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করবে। যে পোস্ট গুলোতে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড প্রচার করা হয়েছে, সেগুলো সার্চ ইঞ্জিনে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। এটি কেবল আপনার প্রাসঙ্গিক পাঠকদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ বাড়ায় না, বরং সার্চ ইঞ্জিন থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধাও দেয়। এতে আপনার ব্লগের সাফল্য বাড়ে।

SEO-র জ্ঞান আপনাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে সাহায্য করে। প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল অ্যালগরিদম এবং নতুন নতুন কৌশল সম্পর্কে আপডেট থাকা প্রয়োজন। আপনি যদি এই পরিবর্তনগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে পারেন, তাহলে ব্লগিং জগতে প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করতে পারবেন। এটি আপনার পেশাদারিত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

সামাজিক মিডিয়া ও মার্কেটিং দক্ষতার গুরুত্ব

সামাজিক মিডিয়া বর্তমানে ব্লগারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে ব্লগাররা তাদের কন্টেন্ট ব্যাপকভাবে প্রচার করতে পারেন। পাঠকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে এর জুড়ি নেই। বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকা প্রয়োজন। যেমন, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং লিঙ্কডইন।

সামাজিক মিডিয়া কৌশলগুলি ব্লগের ভিজিটর বাড়াতে সহায়ক। নিয়মিত পোস্ট ও আপডেট দিয়ে পাঠকদের সাথে যুক্ত থাকে। এমনকি বিবিধ ছবি, ভিডিও এবং লিংক শেয়ার করাও গুরুত্বপূর্ণ।

• প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু পোস্ট করা গুরুত্বপূর্ণ।
• পাঠকদের মন্তব্যের সাথে যুক্ত থাকা।
• নিয়মিত ইনলাইন লিঙ্ক শেয়ার করা।

এতে করে পাঠকরা আপনার ব্লগে নিয়মিত ভিজিটর হবে।

মার্কেটিং দক্ষতা আপনাকে ব্লগ প্রচারে সহায়তা করবে। ব্লগের লক্ষ্য এবং কৌশল ঠিক করা মাস্ট। বিজ্ঞাপন, ইমেইল মার্কেটিং এবং অন্যান্য প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, পাঠকের মতামত নেওয়া এবং তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজনীয়। এটি আপনার ব্লগের উন্নতিতে সহায়ক হবে।

বিশ্বের সঙ্গে সারাক্ষণ যুক্ত থাকতে, একটি নির্দিষ্ট মার্কেটিং পরিকল্পনা থাকা জরুরি। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ব্লগের প্রচার আরও ভাল হবে। টার্গেটেড বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে, নির্দিষ্ট পাঠক দলের কাছে পৌঁছেন।

এতে করে আপনার ব্লগিং জগতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সহজ হবে।

মার্কেটিং কৌশল উন্নত করতে পাঠকদের প্রতিক্রিয়া বোঝা প্রয়োজন। এটি আপনার কন্টেন্ট এবং কৌশল উন্নত করতে সাহায্য করবে। পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করলে সফলতা নিশ্চিত। এইভাবে আপনি আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।

ব্লগ পরিচালনায় সংগঠনাত্মক দক্ষতার অপরিহার্যতা

ব্লগ পরিচালনায় সংগঠনাত্মক দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে নির্ধারিত সময়ে পোস্ট প্রকাশ করতে সহায়তা করে। ব্লগের কাজ এবং সময়সূচি নিয়মিত রাখতে এই দক্ষতা জরুরি। এর জন্য একটি পরিকল্পনা ও ক্যালেন্ডার রাখা যেতে পারে। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করলে ভুল-ত্রুটি কম হয়।

এই দক্ষতার অংশ হিসেবে কন্টেন্ট পরিকল্পনা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আপনি কোন বিষয় নিয়ে লিখবেন এবং কখন লিখবেন তা আগে থেকে নির্ধারণ করা উচিত।

• এতে লেখার সময় কমে যাবে।
• তাছাড়া, ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সহজ হবে।

এভাবে পোস্টের মান উন্নত হবে এবং পাঠকদের কাছেও জনপ্রিয়তা বাড়বে। আরও পড়ুন: ব্লগিং ভবিষ্যৎ ও নতুন ট্রেন্ড

সংগঠিত থাকলে ব্লগের কর্মপ্রবাহও উন্নত হয়। এতে ভিজিটরদের প্রশ্ন ও মন্তব্যের জবাব দেওয়া সহজ হয়। পাঠকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করাও জরুরি। সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হলে সংগঠিত থাকা জরুরি। পাঠকদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি অনেক সাহায্য করে।

সংগঠনাত্মক দক্ষতা কেবল লিখাতেই নয়, ব্লগের অন্যান্য কাজে সফলতা আনতে সাহায্য করে। আপনি কিভাবে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শেয়ার করবেন এবং প্রচার করবেন তা নির্ধারণ করা সহজ হয়।

এটি ব্লগ প্রচারের সময় এবং রিসোর্স বাঁচায়। আরও পড়ুন: ব্লগিং এ সফলতার গল্প ও প্রেরণা

অবশেষে, ব্লগ পরিচালনায় সংগঠনাত্মক দক্ষতা আপনাকে প্রফেশনাল হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এতে আপনার ব্লগের গুণগত মান ও সফলতা নিশ্চিত হয়। ভুল-ত্রুটি কমিয়ে আরও ভালো কাজ করা সম্ভব হয়। এই দক্ষতা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি আপনাকে ব্লগিংয়ে আরও সফল হতে সাহায্য করবে।

প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

প্রফেশনাল ব্লগার হওয়ার জন্য বিভিন্ন দক্ষতা ও জ্ঞান প্রয়োজন। এখানে আমরা কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি যা আপনাকে প্রফেশনাল ব্লগিংয়ে সহায়ক হতে পারে।

১. সৃজনশীল চিন্তাভাবনা কেন জরুরি?

সৃজনশীল চিন্তাভাবনা একজন প্রফেশনাল ব্লগারকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। এটি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পাশাপাশি লেখা আরও আকর্ষণীয় করে। নতুন ভাবনা ও কনটেন্ট উপস্থাপন পাঠকদের মুগ্ধ রাখতে সাহায্য করে। পাঠকেরা নতুন বিষয়বস্তু পড়তে চায়, যা সৃজনশীলতার মাধ্যমে সম্ভব হয়। সেই সাথে, এটি আপনাকে নিজস্ব অনন্য ভঙ্গি তৈরি করতে সহায়তা করবে।

অতি সাধারন বিষয়গুলোও নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরতে পারলে তা অত্যন্ত প্রভাব ফেলতে পারে। সৃজনশীলতা না থাকলে একই ধরনের পোস্ট গুলো পাঠকের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়। মূলত, সৃজনশীল চিন্তাভাবনা লেখাতে প্রাণযোগ ঘটায় এবং পাঠকের ভিতরে একটি প্রবাহ নির্ধারণ করে দিতে সাহায্য করে। এতে লেখার মান বৃদ্ধি পায় এবং ব্লগারের জনপ্রিয়তাও বাড়ে।

২. উৎকৃষ্ট লেখার ক্ষমতা কীভাবে অর্জন করা যায়?

উৎকৃষ্ট লেখার ক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রচুর পড়া ও নিয়মিত লেখা অভ্যাস করতে হবে। বিভিন্ন ধরণের বিষয় পড়লে ভাষার বৈচিত্র বোঝা যায়, যা লিখতেও সহায়ক হয়। নিয়মিত লেখা অনুশীলন করলে নিজের ভুলত্রুটি বোঝা যায় এবং উন্নতির সুযোগ থাকে। এছাড়া, পাঠকদের প্রতিক্রিয়া নিম্ভ কাজের ধারাবাহিকতা বুঝে তৈরির পরিসর নিশ্চিত করা যেতে পারে।

বিশেষত ইংরেজি বা বাংলা শুদ্ধভাবে লিখতে হলে ব্যাকরণের উপর ভাল দখল থাকা প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা দেয়৷ সেখানে লেখার সময় শব্দ ও বাক্যের সরলত্ব বজায় রেখে কিভাবে শক্তিশালী বার্তা রাখা যাবে তা খুঁজে বের করাটা গুরুত্বপূর্ণ৷ যেমন একজন কবিতা লেখেন তেমনই কোন বিষয় নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত বিশ্লেষণ মনোযোগ দিয়ে করলে তা অবশ্যই উৎকৃষ্ট হয়ে ওঠে৷

৩. SEO জ্ঞান কেন অপরিহার্য?

SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মতামতের গুরুত্ব আপনার পোস্টকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে উচ্চ স্থান দেয় যাতে বেশি মানুষ এটিকে দেখতে পারে৷ যখন কেউ নির্দিষ্ট বিষয়ে সার্চ করেন তাহলে প্রথম পাতাতেই যেন আপনার পোস্টটি আসে সেটিই প্রকৃত কৌশল হিসেবে সহজেই দৃশ্যমান বলে বিবেচিত হয়৷ SEO ছাড়া কেউ ব্লগ পড়ে না আর ব্যবসায় সাফল্যের প্রত্যাশাও করা বেঠিক হবে৷

এর অর্থ হলো যে, আপনি যথাযথ সূক্ষ্ম কিওয়ার্ড, মেটা ট্যাগ এবং লিংকিংয়ের মাধ্যমে আপনার ব্লগকে আরো দৃশ্যমান গুরুত্বারে প্রকাশ্যে নিবার থাকবে৷ আসলে এসব কার্যকর SEO-পদ্ধতি সংক্রান্ত তথ্যগুলি নিয়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনার সময় যতবার ট্রাফিক আনার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে কারণ SEO-বিজ্ঞান হল টুলগুলোর অধিক ব্যবহার করেই কর্মক্ষম হয়ে উঠবে বলেই ভাইবেন সেটাই লক্ষ্য রাখুন!

সমাপনী বিবৃতি

প্রফেশনাল ব্লগার হওয়ার জন্য বিভিন্ন দক্ষতা ও জ্ঞান আয়ত্ত করতে হয়। সৃজনশীলতা, SEO জ্ঞান, এবং উৎকৃষ্ট লেখার ক্ষমতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই সামাজিক মিডিয়া ও মার্কেটিং দক্ষতা অপরিহার্য। এই সব কিছুর পাশাপাশি কার্যকর সংগঠনাত্মক দক্ষতাও প্রয়োজন।

নিয়মিত অনুশীলন এবং পাঠকদের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে একজন ব্লগার সফলতা অর্জন করতে পারেন। নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে নিরলস পরিশ্রম করতে হবে। প্রফেশনাল ব্লগিংয়ে উন্নতি আনার জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করতে হবে।